নয় মাস রক্তক্ষয়ী এক যুদ্ধ শেষে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ স্বাধীন হয়। ’৭১-এর ২৫শে মার্চ রাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর অতর্কিতে আক্রমণের মাধ্যমে যে যুদ্ধের সূচনা হয়েছিল। ১৬ই ডিসেম্বর পর বঙ্গবন্ধু স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন। ১০ই জানুয়ারী ১৯৭১ থেকে ১৫ই আগষ্ট ১৯৭৫-এর ভোর পর্যন্ত তিনি দেশ পরিচালনা করেছিলেন। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে সুদৃঢ় একটি ভিতের ওপর দাঁড় করানাের চেষ্টা তিনি তার সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে করে গেছেন। কিন্তু এর মাঝে তিনি কখনও কোন ধর্মব্যবসায়ী মোল্লা-হুজুরকে কাছে-ধারে ভিড়তে দেন নি। কেন দেন নি? একথার উত্তর তিনি তৎকালীন জাতীয় পরিষদের খসড়া সংবিধান রচনাকালে নিজের নীতিনির্ধারণী ভাষণে বলে দিয়েছেন। তিনি ধর্মব্যবসায়ী মোনাফেকদের হাড়ে হাড়ে চিনতেন। ধর্মনিরপেক্ষতার জাতীয় নীতি অবলম্বনকালে তিনি একথা স্পষ্টভাবে বলেছেন।
তবে হ্যা, দু’জন ধর্মভীরু মাওলানাকে তিনি কাছে আসতে দিতেন, কেননা তারা ছিলেন স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি। একজন হলেন মাওলানা ভাসানি অপরজন ছিলেন মাওলানা আব্দুর রশিদ তর্কবাগিশ। এর বাইরে স্বাধীনতাবিরোধী কোন কপট মােল্লা-হুজুরকে তিনি কাছে-ধারে ভিড়তে দেন নি। জাতির সবচেয়ে কঠিন লগ্নে যখন জাতির কাছে জনবলের সবচেয়ে বেশি অভাব ছিল তখনও যেহেতু তিনি কপটদের স্থান দেন নি। তাই এ থেকে বর্তমানেও বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত চেতনা লালনকারীদের অনেক কিছু শেখার আছে।
islamshanti-wordpress.com
No comments:
Post a Comment