গতকাল ৯ই মে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে আহমদীয়া মুসলিম জামা’তভুক্ত (যাদেরকে ব্যঙ্গ করে কাদিয়ানী বলা হয়) জনৈক ইমামের ওপর আক্রমণ করার কারণ বর্ণনা করে আক্রমণকারী আব্দুল আহাদ মোহাম্মদুল্লাহর একটি সাক্ষাতকার প্রকাশিত হয়। সাক্ষাতকারে এই উগ্র ধর্মািন্ধ ব্যক্তি বলেছে, ধর্ম বিকৃত করার অপরাধে, কুরআন-সুন্নাহ-হাদীস বিকৃত করার শাস্তিস্বরূপ সে এই হত্যা প্রচেষ্টা চালিয়েছে। গ্রামে কর্মরত নিরীহ আহমদীয়া ইমাম ধর্ম বৃিকত করেছে নাকি রামদা। আর চাপাতি নিয়ে "ইসলাম রক্ষাকারীরা ধর্ম উদ্ধার করছে একথা যে কোন শান্তিপ্রিয় মুসলমান বেশ ভালই বোঝে! কিন্তু সেই আহমদীয়া ইমামও যদি কোন বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে ধর্ম অবমাননা করে থাকে বা ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে ভিন্নমত পােষণ করে থাকে সেক্ষেত্রে মুসলমানদের করনীয় কি? ধর্ম বিকৃত করার বা ধর্ম অবমাননার আদৌ কােন জুগতিক শাস্তি নির্ধারিত আছে কি না তা না জেনেই আজকালকার “অতি ধাৰ্মিক’ আর ‘নব্য ধাৰ্মিকরা’ বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকার মন্তব্য কলামে এই আক্রমণের সপক্ষে যেসব বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে- এসব মন্তব্য আমাদের সমাজের অবক্ষয় এবং এর ওয়াহাবী মগজধোলাইয়ের একটি করুণ চিত্র উপস্থাপন করছে। আল্লাহ তা’লা বলেছেন,
“নিশ্চয় তিনি তোমাদের প্রতি এ মহাগ্রন্থে বিধান অবতীর্ণ করে দিয়েছেন, তোমরা যখন আল্লাহর আয়াতসমূহ প্রত্যাখ্যাত হবার এবং এগুলোর প্রতি কটাক্ষ করার কথা শুনবে তখন তোমরা তাদের সাথে আর বসবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা অন্য প্রসঙ্গে লিপ্ত না হয়। তা না হলে তোমরা তাদেরই মত বলে পরিগণিত হবে। নিশ্চয় আল্লাহ কপট-মোনাফেকদের আর কাফেরদের জাহান্নামে একত্র করবেন।’ (সূরা নিসা: ১৪০)
একে বলে উদারতা! এই হল ইসলামের পরমতসহিষ্ণুতা! আজ এসব ধর্ম ব্যবসায়ী 'চাপাতি মোল্লারা” তা ভুলে বসে আছে। পবিত্র কোরআনের এ শিক্ষা কোন ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মুখাপেক্ষী নয়। ধর্ম বিষয়ে কটাক্ষকারীদের সাথে বা ধর্মবিকৃতকারীদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করতে হবে। তারা সম্বিত ফিরে পেয়ে নিজেদের অবস্থার সংশোধন করলে তাদের সাথে সুসম্পর্ক বহাল করা যাবে। এরা ধর্ম অবমাননার বা বিকৃতির যে জঘন্য অপরাধ করেছে তার শাস্তি এরা পরকালে পাবে। ইহজগতে এ অপরাধের কোন জাগতিক শাস্তি নেই।
অতএব দেখা গেল ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার সাথে এ খুনিদের দূরতম সম্পর্ক নেই এবং এদের কর্মকাণ্ড কখনই ইসলাম সমর্থিত নয়। এসব রক্তপিপাসুকে প্রশ্রয় দিলে সোনার বাংলা পাকিস্তানে পরিণত হবে। এ রকম ধর্মান্ধদের হাত থেকে কোন সম্প্রদায়ই নিরাপদ থাকবে না।
“নিশ্চয় তিনি তোমাদের প্রতি এ মহাগ্রন্থে বিধান অবতীর্ণ করে দিয়েছেন, তোমরা যখন আল্লাহর আয়াতসমূহ প্রত্যাখ্যাত হবার এবং এগুলোর প্রতি কটাক্ষ করার কথা শুনবে তখন তোমরা তাদের সাথে আর বসবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা অন্য প্রসঙ্গে লিপ্ত না হয়। তা না হলে তোমরা তাদেরই মত বলে পরিগণিত হবে। নিশ্চয় আল্লাহ কপট-মোনাফেকদের আর কাফেরদের জাহান্নামে একত্র করবেন।’ (সূরা নিসা: ১৪০)
একে বলে উদারতা! এই হল ইসলামের পরমতসহিষ্ণুতা! আজ এসব ধর্ম ব্যবসায়ী 'চাপাতি মোল্লারা” তা ভুলে বসে আছে। পবিত্র কোরআনের এ শিক্ষা কোন ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মুখাপেক্ষী নয়। ধর্ম বিষয়ে কটাক্ষকারীদের সাথে বা ধর্মবিকৃতকারীদের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করতে হবে। তারা সম্বিত ফিরে পেয়ে নিজেদের অবস্থার সংশোধন করলে তাদের সাথে সুসম্পর্ক বহাল করা যাবে। এরা ধর্ম অবমাননার বা বিকৃতির যে জঘন্য অপরাধ করেছে তার শাস্তি এরা পরকালে পাবে। ইহজগতে এ অপরাধের কোন জাগতিক শাস্তি নেই।
অতএব দেখা গেল ইসলামের প্রকৃত শিক্ষার সাথে এ খুনিদের দূরতম সম্পর্ক নেই এবং এদের কর্মকাণ্ড কখনই ইসলাম সমর্থিত নয়। এসব রক্তপিপাসুকে প্রশ্রয় দিলে সোনার বাংলা পাকিস্তানে পরিণত হবে। এ রকম ধর্মান্ধদের হাত থেকে কোন সম্প্রদায়ই নিরাপদ থাকবে না।
www.islamshanti.wordpress.com