Pages

Sunday, October 6, 2013

‘মূল’কে বাদ দিয়ে মৌলবাদী- পর্ব ০২

৬ ডিসেম্বর ১৯৯২ ভারতের উগ্র ধর্মান্ধ রাজনৈতিক দল বিজেপি’র উস্কানিতে একদল উশৃঙ্খল মানুষ ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদ ভেঙ্গে দেয়। এ প্রেক্ষাপটে ভারত ও পাকিস্তানের উগ্র মৌলবাদী চক্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে পিছপা হয় নি। বাংলাদেশেও একটি চিহ্নিত উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠি নোয়াখালী ভোলাসহ দেশের বিভিন্ন অংশে হিন্দুদের মন্দির, মঠ এবং সম্পত্তিতে আক্রমণ চালায়। অযোদ্ধার এই ঐতিহাসিক মসজিদ যদিও প্রায় পরিত্যাক্ত অবস্থায় ছিল এবং নিয়মিত নামায সেখানে কেউ পড়তো না কিন্তু তা সত্ত্বেও একটি ঐতিহাসিক উপাসনালয় ধ্বংস নিঃসন্দেহে ধর্মীয় ভাবাবেগকে উস্কে দেয়ার মত ছিল। কিন্তু সেই ভাবাবেগের বহিঃপ্রকাশ ইসলামী পন্থায় না করে অ-ইসলামী বরং ইসলাম বিরোধী পন্থায় করা হয়। অর্থাৎ সকল ধর্ম মতের লোকদের মাঝে শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থানের কথা না বলে সংখ্যাগরিষ্ঠতার অজুহাতে গায়ের জোরে ধর্মসেবা বরং ধর্ম বিদ্বেষ দেখানো আরম্ভ করে দেয়া হয়। এ কথা ঠিক, বাবরি মসজিদকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে সেদেশের সরকার কর্তৃক রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির বিষয়টি উড়িয়ে দেয়া যায় না। কিন্তু তারা যা-ই করেছে সেদিকে না গিয়ে আমাদের কী কী করণীয় ছিল আর কী করেছিÑ সে বিষয়ে আলোচনা করা আবশ্যক বলে মনে করি। পবিত্র কোরআনে যেখানে

Friday, October 4, 2013

‘মূল’কে বাদ দিয়ে মৌলবাদী ১ম পর্ব

যে সব খড়গ ব্যবহার করে এদেশের গ্রামে-গঞ্জে ‘মৌলোভী’ সাহেবরা সামাজিক নিপীড়ন চালিয়ে আসছেন এগুলোর মাঝে ‘তালাকের মোক্ষম অস্ত্র’টি অন্যতম। ধরুন, একজন অশিক্ষিত শ্রমিক সারাদিন গায়ে-গতরে খেটে এসে বাড়ীতে খেতে বসেছে। সামান্য কোন কথায় ক্লান্ত এ মানুষটি রেগে গিয়ে তার বউকে রাগের মাথায় গালি দিতে আরম্ভ করে। এরই এক পর্যায়ে মুখ ফসকে ‘তালাক’ শব্দটি বেরিয়ে গেল। ব্যাস, আর নিস্তার নেই। মৌলোভী সাহেবরা রাগের মাথায় উচ্চারিত এই ‘তালাক’ শব্দটিকে শিরধার্য সাব্যস্ত করে দেন আর কেবল সাব্যস্তই করেন না বরং ধর্মের সমস্ত বিধি-বিধান জলাঞ্জলি দিয়ে এ কথাকে অপ্রত্যাহারযোগ্য তিন তালাক (তালাকে বাত্তা) আখ্যা দিয়ে স্বামী-স্ত্রীকে পৃথক করে দেন। আর নিজ স্ত্রীকে ফেরত পেতে চাইলে স্বামীকে স্পষ্ট জবাব দিয়ে দেন, ‘হিলা বিয়ে’ ছাড়া সে তার স্ত্রীকে আর ফিরে পেতে পারে না। অথচ রাগের মাথায় উচ্চারিত ‘তালাক’