মওদুদীর কথিত ধর্মরাজ্য ও মিথ্যার বেসাতি
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা ‘মাওলানা’ মওদুদী রাষ্ট্র ক্ষমতা অর্জনের জন্য সারাটা জীবন তার ‘ইসলাম’ পালন করে গেছেন। তিনি ক্ষমতা দখলের মোহে নিরীহ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদেরকে একই নেশার আফিম খাইয়েছেন কোরআন-হাদীসের অপব্যাখ্যা করে। তার বক্তব্য ও লেখার বিভিন্ন স্থানে তিনি মহানবী (সা.) এবং তাঁর পবিত্র খলীফাদেরও নাম ভাঁঙ্গিয়েছেন নিজের এই বিকৃত ও ধিকৃত মতবাদকে সাব্যস্ত করার নিমিত্তে। মওদুদীর রচিত ‘আল-জিহাদ ফিল ইসলাম’-এ লেখা আছে, হজরত মোহাম্মদ (স.) রাষ্ট্র ক্ষমতা লাভ করার পর পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ও সা¤্রাজ্যপতিদের প্রথমে ইসলাম গ্রহণের আহবান জানান। এ আমন্ত্রণ তারা প্রত্যাখ্যান করায় তিনি তাদেরকে যোগ্য ও ক্ষমতার হক্দার মানুষের হাতে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে বলেন। তারা এতেও সম্মত না হওয়ায় মহানবী (স.) তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করে তাদেরকে অপসারণ করে তাদের দেশ দখল করে নেন। মওদুদী পরবর্তীকালে লেখা তাঁর ‘হকীকতে জিহাদ’-এ আরও একধাপ এগিয়ে দাবি করেছেন, ইসলাম গ্রহণের আমন্ত্রণ গৃহীত হয় কি হয় না-এর অপেক্ষা না করেই শক্তি লাভ করতেই হজরত মোহাম্মদ (স.) ও তাঁর দ্ইু খলীফা হজরত আবু বকর (রাযি.) এবং হজরত উমর (রাযি.) রোমীয় এবং পারস্য সা¤্রাজ্যের ওপর হাম্লে পড়েন এবং সেখানে ইসলামী রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন।
পবিত্র কোরআন সম্বন্ধে যাঁর সামান্য জ্ঞানও আছে তিনি নিশ্চয়ই জানেন মওদুদদীর এই শিক্ষা কতটা কোরআন-বিরোধী! ইসলামে শান্তি ও সৌহার্দ্যরে শিক্ষা বলে যে কিছু একটা আছে মওদুদীর এসব বক্তব্য পড়ে কেউ তা ঘুনাক্ষরেও জানতে পারবে না। কিন্তু কোরআনের শিক্ষা পরিপন্থী হওয়ার পাশাপাশি তিনি যে তার বক্তব্যে কতটা সত্যের অপলাপ ও ইতিহাস বিকৃতি করেছেন সে কথাটাই এখানে তুলে ধরা উদ্দেশ্য। রোমীয় ও পারস্য